ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তার সমর্থকরা।
বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া মোড়ে সরাইল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পীর নেতৃত্বে একদল যুবক মহাসড়কে ঢায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এদিকে একই দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা মোড়ে টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেছেন একদল যুবক। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে অন্তত এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পী মাসুম বিল্লাহর ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের জন্যে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
ঘটনা সম্পর্কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসি মো. সেলিম উদ্দিন ও সরাইল থানার ওসি নাজমুল আহমেদ ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ’র গ্রেফতারের বিষয়টি সম্পর্কে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
দুই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মহাসড়কে কে বা কারা আগুন দিয়েছে বিষয়টি অনুসন্ধান করে বের করা হবে। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য: মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহকে ৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সরাইল থানা পুলিশ। এসময় মাসুম বিল্লাহর সহযোগী মো. এনামুল হাসানকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালে মাসুম বিল্লাহ এবং তার সহযোগী এনামুল হাসান মিলে পুলিশকে মারধর করেন। পরে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাদের গ্রেফতার করে সরাইল থানায় নিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশের এএস আই মো. আলাউদ্দিন বাদী হয়ে মাসুম বিল্লাহ এবং তার সহযোগী মো. এনামুল হাসানের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে আরো একটি মোট দুটি মামলা দায়ের করেন। এর আগেও পুলিশের ওপর হামলাসহ মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বিজয়নগরে পৃথক ৩টি মামলা রয়েছে।